History of Hand-loom Sharee
শাড়ী বাংলাদেশের নারীদের জাতীয় পোশাক। সব বয়সী নারীরা শাড়ী পরে থাকে। তার মধ্যে বিবাহিত নারীদের কাছে শাড়ী নিত্যদিনের পোশাক ।শাড়ীতে নারীর ঐতিহ্য ফুটে ওঠে। এর মধ্যে প্রাচীন কাল থেকে তাঁতের শাড়ীর ব্যবহার চলে আসছে।
তাঁতের শাড়ী তৈরী প্রক্রিয়া:
তাঁতের শাড়ী তৈরীর সাথে জড়িয়ে আছে শৈল্পিক কারুকাজ। এবং একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। প্রথমে টেক্সটাইলে তৈরী সুতার বান্ডেল কিনে আনা হয় বাজার থেকে যা তাঁতের শাড়ীর কাাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে। সুতাগুলোকে পানিতে ধুয়ে কেমিক্যাল ও অতিরিক্ত বা ঐচ্ছিক রং পরিস্কার করা হয়।তার পর সুতাগুলোকে তাঁতে ব্যবহার উপযোগী করা জন্য চরকার সাহায্যে ছোট ছোট সিটা বা ববিনে জড়ানো হয়। তার পর সেগুলোকে পানিতে সিদ্ধ করা হয়। সিটাগুলো ব্যবহার করা হয় কাপড় বোনার জন্য আর ববিনগুলোর সুতোর সাহা্য্যে সারি সারি মই আকারে কাঠের তৈরী মইয়ে সাজানো হয় মূলত এখান থেকে কাপড়ের নকশা শুরু কতগুলো সুতা কতখানি জায়গা দখল করবে আর কতখানি কি রং হবে তা এখানেই নির্ধারন করা হয়। এই ববিনের সুতাগুলো কাঠের ড্রামের সাথে মড়ানো হয় এই মুরানো সুতাগুলো ভিমে জড়ানো হয় যিনি একাজগুলো করে থাকে উনাকে বলা হয় ড্রাম মাষ্টার।এরপর প্রতিটি সুতাকে দুইটা ভাগে বিভক্ত করে লাইনের তৈরী বও এবং ষ্টিলের তৈরী হানার মধ্যে প্রবেশ করানো হয় আর এখানেই নিধারণ করা হয় প্রতি ইঞ্চিতে কতগুলো সুতা থাকবে অথ্যাৎ সুতার ঘনত্ব এখানেই নির্রারণ করা হয়। এরপরের ধাপ এটা তাঁত নামক কাঠের তৈরী মেশিনে স্থাপন করা হয়। এর পর ললি বা ছিটায় মুরানো সুতাকে মাকু নামক মেশিনে স্থাপন করে আড়াআড়ীভাবে এপাশ থেকে ওপাশ ওপাশ থেকে এ পাশ বোনানো হয়। এ কাজটি যিনি সুনিপূন ভাবে সম্পাদন করে থাকেন তিনি হলেন তাঁতি বা তাঁতশ্রমিক।এর সাথে নকশা বা ডিজাইনের কাজটি করে থাকেন ছোট বড় কাঠের ষ্টিক সমৃদ্ধ জাকেট নামক মেশিনে। শাড়ী বা কাপড় তৈরী সম্পন্ন হলে সেটাকে তাঁত থেকে কেটে ইস্ত্রি করা, ভাজ করা, লেবেলিং করা সবংশেষ ধাপ হলো বাজারজাতকরনে মাধ্যমে ভোক্তার নিকট পৌছানো হয়।
তাঁত শিল্প প্রায় দুই হাজার বছর আগে রোমানরা ইংলান্ডে আবিষ্কার করলেও ইন্ডিয়া ও বাংলাদেশে কাপড় তৈরীর অভিনব কৌশল হিসেবে জায়গা করে নেয়।যা ইন্ডিয়া এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যুগের পর যুগ পরিবর্তনের হাত ধরে পরিবর্তন হয়ে আসছে তাঁতের শাড়ীও।
মানুষের রুচি আর চাহিদার সমন্বয়ে তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন শাড়ী। সুপরিচিত শাড়ীর মধ্যে রয়েছে
১। বালুচুড়ি শাড়ী – Baluchuri saree
২। কাঞ্চিপুরাম শাড়ী- Kanchipuram saree
৩। তুষার শাড়ী- Tussar saree
৪। বেনারসী শাড়ী- Benaroshi saree
৫। টাঙ্গাইল শাড়ী- Tangail saree
৬। বুটি শাড়ী- Buti saree
৭। জামদানী শাড়ী- Jamdani saree
৮। রাজশাহী সিল্ক শাড়ী- Rajshahi Silk saree
৯। কাতান শাড়ী- Katan saree
১০। মণিপুরী শাড়ী-Monipuri saree
১১। মুসলিন শাড়ী- Muslin Saree
সব ধরণের শাড়ীর কালেকশান পেতে ভিজিট করুন বাংলাদেশে সেরা অনলাইন শপিং স্বপ্নবাড়ী.কম(Best online shopping in Bangladesh – shopnobari.com)